কমিউনিটি

সিডনিতে অনুষ্ঠিত হলো একটি আলোকিত আয়োজন "প্রশান্তিকা জয়ী সন্ধ্যা"

জন্মভূমি রিপোর্টঃ সিডনির অন্যতম জনপ্রিয় অন  লাইন পত্রিকা প্রশান্তিকা আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ থেকে  আগত সাংবাদিক  জ. ই. মামুন কে নিয়ে একটি আলোকিত অনুষ্ঠান " প্রশান্তিকা জয়ী সন্ধ্যা" । গত শুত্রুবার ২১ জুলাই সিডনির বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা লাকেম্বার একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন , সাংবাদিক লেখক , সাহিত্যিক , সাংস্কৃতিক কর্মী সহ বিশিষ্ট জনেরা। সিডনিতে বেশ কিছু ব্যাতিক্রমধর্মী আয়োজন করে ইতিমধ্যে প্রশংসা কুড়িয়েছে অন  লাইন পত্রিকা প্রশান্তিকা। তারই ধারাবাহিতায় এই আয়োজনটি ছিল অনন্য।

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন , গামা আব্দুল কাদির, অজয় দাশগুপ্ত , জন মার্টিন, আবু রেজা আরেফিন, আল নোমান শামীম, মো. শফিকুল আলম,  শাখাওয়াৎ নয়ন,  কামরুল হাসান শায়ক, রহমতউল্লাহ প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন সাকিনা আক্তার।

যাকে  ঘিরে ছিল এই আয়োজন তিনি জ. ই. মামুন (জহিরুল ইসলাম মামুন) বাংলাদেশের প্রথম সারির একজন সাংবাদিক। বিগত ৩২ বছর ধরে যুক্ত রয়েছেন সাংবাদিকতা পেশায় । ৯০ দশকে বাংলাদেশে জনপ্রিয়তায় শীর্ষে থাকা সাপ্তাহিক খবরের কাগজ দিয়ে শুরু তার সাংবাদিকতা ,পরে  দৈনিক আজকের কাগজ , ভোরের কাগজ এ দীর্ঘ সময় সাংবাদিকতা করেছেন। পরবর্তীতে  যুক্ত হয়েছেন টেলিভিশনে, বাংলাদেশের আলোচিত টেলিভিশন চ্যানেল একুশে  টিভির মাধ্যমে শুরু করেন  টেলিভিশন সাংবাদিকতার নতুন অধ্যায় । বর্তমানে তিনি ডিজিটাল টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলার বার্তা বিভাগের প্রধান নির্বাহী সম্পাদক হিসাবে কর্মরত আছেন।

জনাকীর্ণ এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জ. ই. মামুন নিজেকে একজন সংবাদ কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশের সাংবাদিকতার নানা চ্যালেঞ্জ সহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি কিভাবে সাংবাদিকতায় এসেছিলেন তাও তুলে ধরেন। তিনি প্রবাসীদের এমন একটা আয়োজনে অভিভূত হয়ে বলেন আপনারা আমাকে কৃতজ্ঞতার জালে আটকে রাখলেন। তিনি আয়োজক এবং উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন- আপনাদের এই ভালোবাসা আমার সারাজীবন মনে থাকবে।

প্রশান্তিকার পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে পত্রিকাটিতে লেখালেখির  জন্য বেশ কয়েকজনকে সম্মামনা ও পুরস্কার দেয়া হয়। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ যে পুরস্কার হিসাবে দেয়া হয় কিছু মূলবান বই , যা এই প্রবাসে নজিরবিহীন। প্রশান্তিকার সম্পাদক আতিকুর রহমান শুভ বর্ষসেরা লেখক ও সাংবাদিকদের পুরস্কার প্রদাণ পর্ব পরিচালনা করেন। এসময় তিনি উপস্থিত প্যানেল বিচারক অজয় দাশগুপ্ত, আবু রেজা আরেফিন, জন মার্টিন, নোমান শামীম, শাখাওয়াৎ নয়নকে মঞ্চে ডেকে নেন। বিজয়ীদের পুরস্কার ও সনদ প্রদান করেন জ. ই. মামুন। যারা পুরস্কার পেলেন তারা হচ্ছেন , প্রতিবেদন বিভাগে দীপঙ্কর গৌতম; বিশেষ প্রতিবেদন বিভাগে ফাহাদ আসমার ও শুভজিৎ ভৌমিক; মননশীল (শিল্প ও সাহিত্য) বিভাগে অনীলা পারভীন; কলাম বিভাগে শিল্পী রহমান ও তানজিনা তাইসিন।

প্রশান্তিকা বইঘরের মাধ্যমে সংগ্রহ করা জ. ই. মামুনের দুটি বই- একটি কবিতা (করতলে জোনাক জ্বলে) এবং অন্যটি প্রবন্ধ (বেহেস্তের মেজর) উপস্থিত দর্শকেরা সংগ্রহ করেন এবং লেখকের অটোগ্রাফ গ্রহণ করেন। বই দুটি থেকে আবৃত্তি ও পাঠ করে শোনান যথাক্রমে পলি ফরহাদ, শাহীন শাহনেওয়াজ ও শুভজিৎ ভৌমিক।

অনুষ্ঠানের শেষ ভাগে ছিল জ. ই. মামুন এর সাথে উপস্থিত সুধীমন্ডলীর সরাসরি প্রশ্নোত্তর পর্ব। এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন লেখক ও কলামিস্ট অজয় দাশগুপ্ত । অজয় দাশগুপ্তের সংক্ষিপ্ত  বক্তব্যের পরে  দর্শকদের প্রশ্ন পর্ব শুরু হয় । দর্শকদের নানান প্রশ্নের মন খুলে সব প্রশ্নের উত্তর দেন জ. ই. মামুন। একটি প্রশ্নের জবাবে জ. ই. মামুন বলেন-“ আমার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতার জার্নিতে এ কথা বলতে পারি জীবনে কখনই আমি আপোস করিনি। এ পেশাটাকে সবসময় সম্মান করে এসেছি এবং আসছি।”

প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করেন একুশে একাডেমী অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নেহাল নেয়ামুল বারী, এসবিএস বাংলার প্রধাণ সিকদার তাহের আহমদ, সিডনি বেঙ্গলিজ সম্পাদক আবু তারিক, এছাড়াও অনলাইনে প্রশ্ন পাঠান পার্থ থেকে সাংবাদিক নির্জন মোশাররফ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে আলোকচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এডওয়ার্ড অশোক অধিকারী, সরকার কবিরউদ্দিন, আবু তারিক, কে দে আকাশ  প্রমুখ। সার্বিক সহযোগিতা করেন মো. শফিকুল আলম, দিবাকর সমাদ্দার, টাবু সঞ্জয় এবং আরিফুর রহমান।