শীর্ষ সংবাদ

যথাযথ মর্যাদা ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় সিডনিতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৩ উদ্যাপিত

জন্মভূমি রিপোর্টঃ  কনস্যুলেট জেনারেল অফ বাংলাদেশ, সিডনির পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, ২৬ এপ্রিল ২০২৩, যথাযোগ্য মর্যাদা ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় বিবিধ অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে সিডনিতে বাংলাদেশের ৫৩তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় যে, ২৬শে মার্চ প্রত্যুষে কনস্যুলেট জেনারেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ হাউজ প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৩ -এর কর্মসূচির সূচনা করা হয়। এসময় কনস্যুলেট জেনারেল মো. সাখাওয়াৎ হোসেনের পক্ষ থেকে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশের উন্নয়ন ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। এসময় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে দেশবাসী ও প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী -এর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ২৬ এপ্রিল  সিডনির প্রসিদ্ধ ফোর সিজন’স হোটেলে এক জমকালো কূটনৈতিক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। নিউ সাউথ ওয়েলস অঙ্গরাজ্যে নির্বাচন চলমান থাকায় ২৬শে মার্চের পরিবর্তে ২৬শে এপ্রিল জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়। 
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউ সাউথ ওয়েলস অঙ্গরাজ্যের সংসদের নবনির্বাচিত লেবার সরকারের উচ্চকক্ষের দলনেতা ও জ্বালানী, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও ঐতিহ্য বিষয়ক মন্ত্রী পেনি শার্প এমএলসি। এছাড়াও সরকারের মন্ত্রীপরিষদ সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিল্প সম্পর্ক, কর্ম স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী সোফি কটসিস এমপি, গ্রাহক পরিষেবা ও ডিজিটাল সরকার বিষয়ক মন্ত্রী জিহাদ দিব এমপি, বহুসংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী স্টিফেন কেমপার এমপি। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দল লিবারেল পার্টির নেতৃবৃন্দ, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, সিডনিতে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কনসাল জেনারেল ও কূটনীতিকগণ, স্থানীয় সরকারের মেয়র ও কাউন্সেলরগণ, নেতৃস্থানীয় উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীবৃন্দ, সাংবাদিক, শিক্ষক, গবেষক, সাংস্কৃতিক অঙ্গণের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ।

কনসাল জেনারেল তার স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন।  তিনি তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে অতিথিদের শুভেচ্ছা জানিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করে তাঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি তার বক্তব্যে বিগত এক দশক ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক বিভিন্ন পরিসংখ্যান ও তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপনের মাধ্যমে উপস্থিত সুধীজনের কাছে তুলে ধরেন।

তিনি বলেন ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরেরে লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তিনি অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি, সংস্কৃতি, সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সকল ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখার জন্য নিউ সাউথ ওয়েলস ও কুইন্সল্যান্ড -এ বসবাসরত সকল প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রশংসা করেন। কনস্যুলেটের কর্মকান্ডে সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য তিনি এনএসডব্লিউ রাজ্য সরকারকেও ধন্যবাদ জানান।

বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অন্যতম পরিচায়ক সরোদের এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

ছবিঃ প্রেরিত