স্মৃতি-বিস্মৃতির শেষে নতুন বছরের শুরু হ্যাপি নিউ ইয়ার
নিজস্ব প্রতিবেদক: আমাদের জীবন থেকে বিদায় নিলো আরেকটি খ্রিস্ট্রিয় বছর। ২০২২ সালের শেষ সূর্যটি গোধূলির পর হারিয়ে গেছে মহাকালের গর্ভে। আর রাত ১২টা পেরিয়ে শুরু নতুন খ্রিস্ট্রিয় বছর ২০২৩। শুভ নববর্ষ হ্যাপি নিউ ইয়ার , আমাদের অগণিত পাঠক ,দর্শক,শুভাকাঙ্খী , বিজ্ঞাপনদাতা ও স্পনসরদের জানায় নববর্ষের শুভেচ্ছা।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন বছর দু’হাজার তেইশ সালের সূচনা উদযাপনের অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় ক্ষুদ্র দ্বীপ রাষ্ট্র টোঙ্গা , সামোয়া এবং কিরিবাসে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর প্রথম অনুষ্ঠান হয়।
পৃথিবীর একেক প্রান্তে ঘড়ির কাঁটা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে মধ্যরাত স্পর্শ করার মাধ্যমে পয়লা জানুয়ারির সূচনা হয়। সে হিসেবে সবার আগে দু’হাজার তেইশ সালকে স্বাগত জানিয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ কিরিবাস। এর পরে ২০২৩কে স্বাগত জানানো হয় নিউজিল্যান্ড। এ সময় অকল্যান্ড শহরে স্কাই টাওয়ার থেকে আতসবাজি পোড়ানো শুরু হয়। এ অনুষ্ঠান দেখতে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়।
এর পর নতুন বছর স্বাগত জানানোর অনুষ্ঠান শুরু হয় অস্ট্রেলিয়া ও জাপানে, তাছাড়া একে একে কুয়ালালামপুর, ম্যানিলা, তাইপে, সাংহাই, সিঙ্গাপুর, বেজিং ও হংকংএর মত পূর্ব এশিয়ার অনেকগুলো শহরে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি সময় রাট ১২ টায় আতশবাজির মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ করা হয়। হাজার হাজার মানুষের উল্লাসে মুখরিত হয়ে ওঠে সিডনি। পর্যটনমুখ অপেরা হাউজের চারপাশেও আতশবাজির ঝলকানি মুগ্ধ হন উপস্থিতরা।
বিদায়ী বছরে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরবর্তী সারাবিশ্বে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি, অনেক দেশে দুর্ভিক্ষের হাতছানি, ব্রিটেন-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিক উত্থান-পতনের ঘটনা। প্রত্যাশা থাকবে প্রাপ্তিগুলো নতুন মোড়কে নতুনভাবে প্রেরণা জোগাবে ২০২৩-এ। হতাশ-গ্লানিগুলো যাবে ঘুচে। বছর শেষ হওয়ার পথে সবাই নতুন আলো ও সম্ভাবনার আশায় বসে আছে। তাই নতুন বছসিডনি হারবারেরে বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রতিটি মানুষের একটি মাত্রই চাওয়া- ‘বিশ্ব হোক প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মুক্ত, বন্ধ হোক যুদ্ধ, প্রাণঘাতী, হানাহানি। যুদ্ধ নয় শান্তি চাই, ভয়হীন প্রাণভরে নিশ্বাস নিক বিশ্বের প্রতিটি মানুষ। ’ তাই বিদায় ২০২২, স্বাগত ২০২৩ সাল।
ছবি: সংগৃহিত