জন্মভূমি ডেস্কঃ গত মাসে সিডনির মেট্রাভিলে ( 12/ 297-301 Buchamp Road) অবস্থিত হাউজিং কমিশনের বাসিন্দা মোঃ আহসানউল্লাহ এর মরদেহ উদ্ধার করেছে মেট্রাভিল পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় প্রায় একমাস যাবৎ তাকে দেখা যায়নি। নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করতেন তিনি।  এছাড়াও তিনি  দীর্ঘদিন যাবত কিডনি সহ দুরারোহ্য ব্যধিতে ভূগছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

আনুমানিক ৫৭ বছর বয়েসী মোঃ আহসানউল্লাহকে জানুয়ারির মাসের দিকে  দেখতে একজন পরিচিত জন (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) মোঃ আহসানউল্লাহর বাসার দরজায় অনেকক্ষন নক করেন  ভিতর থেকে  কোনো সাড়া না পেয়ে পাশের ফ্ল্যাটে তার ব্যপারে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তারাও অনেকদিন তাকে দেখেননি। পরে ওই ব্যক্তি পুলিশকে খবর দেন , পুলিশ ইউনিটের দরজা খুলে ইউনিটের ভিতর আহসান উল্লাহকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন, প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে  যে, প্রায় এক মাস যাবৎ মৃতদেহটি  ইউনিটের ভিতর ছিল। এর চাইতে বেশি কোনো তথ্য পুলিশ দেয়নি। মেট্রাভিল পুলিশ মৃত্যুর কারণ জানতে অনুসন্ধানে নেমেছে এবং মৃতদেহটি  ফর্সেনিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে। প্রায় এক মাস যাবৎ সরকারি লাশ রাখার ঘরে পরে আছে মৃতদেহটি।

মৃত মোঃ আহসানউল্লাহ আনুমানিক তিরিশ বছর যাবত অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করতেন , কিন্তু তার কোন বন্ধু- বান্ধব বা আত্মীয় স্বজননের খোঁজ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে তার জন্ম বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলায়। মোঃ আহসানউল্লাহর মৃত্যুর সংবাদে কমিউনিটিতে শোকের  ছায়া নেমে এসেছে।

পুলিশ মোঃ আহসানউল্লাহর আত্বিয় বা স্বজনের খোঁজ চেয়েছে। তারা এও জানতে চেয়েছে লাশ কার কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং  করা দাফনের ব্যবস্থা করবে। কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠন এব্যাপারে এগিয়ে আসতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম বাঙালি মুসলিম সংগঠন , অস্ট্রেলিয়ান মুসলিম ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সভাপতি ডঃ আনিসুল আফসার বলেন তারা মৃতের স্বজনদের অথবা দায়িত্বশীল কারো কাছ থেকে যথাযথ আবেদন পেলে তারা লাশ দাফন  সহ আনুষাঙ্গিক কাজে সাংগঠনিক ভাবে সহায়তা করবেন।