অস্ট্রেলিয়াকে চীনের সতর্কতা: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের যুদ্ধাপরাধের কথা মনে রাখা উচিত এমন মন্তব্য করেছে  চীন

জন্মভূমি ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার আঞ্চলিক শক্তির সঙ্গে যুক্ত  হওয়ার আগে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের যুদ্ধাপরাধের কথা মনে রাখা উচিত এমন মন্তব্য করেছে  চীন।  সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে , অস্ট্রেলিয়ার মধ্য-বামপন্থী লেবর সরকার চীনের সঙ্গে তার সম্পর্ক মেরামত করার চেষ্টা করছে, যা পূর্ববর্তী রক্ষণশীল লিবারেল সরকারের সাথে যথেষ্ট অবনতি হয়েছিল।

সিএনএনের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্ট্রেলিয়া সম্প্রতি চীনের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী জাপানের সঙ্গে একটি নতুন নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যাকে প্রশান্ত মহাসাগরে বেইজিংয়ের ক্ষমতা সীমিত করার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছে চীন। 

অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান মধ্য-বামপন্থী লেবর সরকার চীনের সঙ্গে তার সম্পর্ক মেরামত করার চেষ্টা করছে, যা পূর্ববর্তী রক্ষণশীল লিবারেল সরকারের অধীনে যথেষ্ট অবনতি হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ায় চীনের রাষ্ট্রদূত জিয়াও কিয়ান বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অস্ট্রেলিয়া আক্রমণের কারণে ক্যানবেরার জাপানকে বিশ্বাস করা থেকে সতর্ক হওয়া উচিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান অস্ট্রেলিয়া আক্রমণ করেছিল, ডারউইনে  বোমা ফেলেছিলো এবং অস্ট্রেলিয়ান যুদ্ধবন্দীদের গুলি করে হত্যা করেছিল। 'চীন অস্ট্রেলিয়ার বন্ধু' এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'ভবিষ্যতে কি ঘটতে পারে সে সম্পর্কে সচেতন থাকুন। কেউ আপনাকে একবার হুমকি দিলে সে আবারও হুমকি দিতে পারে।'

অস্ট্রেলিয়ায় জাপানের রাষ্ট্রদূতকে প্রশ্ন করা হলে জিয়াও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। জাপানের রাষ্ট্রদূত YAMAGAMI Shingo অস্ট্রেলিয়ান সংবাদপত্রকে বলেন , চীনকে 'সতর্ক' থাকতে হবে। চীন ২০২০ সালে বার্লি এবং ওয়াইনের মতো মূল অস্ট্রেলিয়ান রপ্তানিতে শুল্ক আরোপ করেছে। দুই দেশের মধ্যে বিরোধ ও উত্তেজনার মধ্যে অনানুষ্ঠানিকভাবে অস্ট্রেলিয়ান কয়লার আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার সাবেক সরকার বারবার চীনের মানবাধিকার রেকর্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলে এবং কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের উত্স সম্পর্কে একটি স্বাধীন তদন্তের জন্য চাপ দিয়ে চীনকে ক্ষুব্ধ করেছিল। জিয়াও স্বীকার করেছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাণিজ্য 'ব্যহত' হয়েছে। তবে তিনি আশাবাদী যে এটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।
ছবি: সংগৃহিত