শীর্ষ সংবাদ

ফ্যামিলিজ অফ বাংলাদেশী কমিউনিটি সিডনির পক্ষ থেকে গত ২২ বছরে ক্যান্সার কাউন্সিলকে দেয়া হয় ৩৯০ হাজার ডলার

জন্মভূমি রিপোর্টঃ প্রতিবছর বিশ্বে ক্যান্সার রোগে বহু মানুষ মৃত্যুবরণ করে। অর্থ সংকটে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীরা ধুঁকে ধুঁকে মারা যায়। সিডনিতে ক্যান্সার রিসোর্স ডেভেলপমেন্টকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করার লক্ষেই গুড মর্নিং বাংলাদেশ নামে ‘বিগেষ্ট মর্নিং টি’ কর্মসূচিটি ২০০১ সালে শুরু করেছিলেন মরহুম ডঃ আব্দুল হক। গত ২১ বছরের হিসাব অনুযায়ী ফ্যামিলিজ অফ বাংলাদেশী কমিউনিটি সিডনির ব্যানারে গুড মর্নিং বাংলাদেশ এর সকালের নাস্তার আয়োজন থেকে গত বছর ২০২২ পর্যন্ত ৩৩৭ হাজার ডলার সংগ্রহ করে  নিউ সাউথ ওয়েলস ক্যান্সার কাউন্সিলে জমা দেয়। এবছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে  সংগৃহিত অর্থের পরিমান ৫৪,৩৮৪ ডলার।

গত ২১ বছরের মধ্যে  এ বছর গুড মর্নিং বাংলাদেশ এর মর্নিং টি থেকে সর্বোচ্চ সংগ্রহ ৫৪,৩৮৪ ডলার। এই সম্পূর্ণ অর্থটি ক্যান্সার কাউন্সিলে জমা দেয়া হয়। এ পর্যন্ত ক্যান্সার কাউন্সিলের তহবিলে ফ্যামিলিজ অফ বাংলাদেশী কমিউনিটি সিডনির পক্ষ থেকে জমা দেয় হয় ৩৯০ হাজার ডলার।ক্যান্সার কাউন্সিল নিউ সাউথ ওয়েলস বাংলাদেশ কমিউনিটির এই অনুদান সানন্দে গ্রহণ করে এমন আর্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন। 
 

ফ্যামিলিজ অফ বাংলাদেশী কমিউনিটি সিডনির আয়োজনে ধারাবাহিকভাবে গত ২১ বছর ধরে চলছে। এটি অস্ট্রেলিয়ান বিগেস্ট মর্নিং টি' প্রোগ্রামের অধীনে ক্যান্সার কাউন্সিল নিউ সাউথ ওয়েলস এর জন্য তহবিল সংগ্রহের বাংলাদেশী কমিউনিটির বৃহত্তম কর্মসূচি। এ বছর এ কর্মসূচির অধীনে গত ১৪ মে ২০২৩, মিন্টোতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ লেডিস ক্লাব অস্ট্রেলিয়া ফ্যামিলিজ অফ বাংলাদেশী কমিউনিটি সিডনির তত্বাবধানে সকালের নাস্তার আয়োজন করে এবং  ৬১৭০ ডলার সংগ্রহ করে। দ্বিতীয় কর্মসূচিটি পালিত হয় ফ্যামিলিজ অফ বাংলাদেশী কমিউনিটি সিডনির আয়োজনে ২৮ মে ,২০২৩, ব্ল্যাকটাউনে সেখানে সংগৃহিত হয় ,২৫,০২১১ ডলার। তৃতীয় আয়োজনটি হয় ১১ জুন ২০২৩, লাকেম্বাতে সেখানে সংগৃহিত হয় ১৩,০৫০ ডলার , এবং সর্বশেষ এ বছরের আয়োজনটি ছিলো মাস্কটে ,সেখানে সংগৃহিত হয় ,১০,১৪৪ ডলার , সর্বমোট  এবছরের সংগৃহিত অর্থের পরিমান ৫৪,৩৮৪ ডলার।

ফ্যামিলিজ অফ বাংলাদেশী কমিউনিটি সিডনির পক্ষে ডাক্তার আয়াজ চোধুরী , তানভীর শাহিদ ,রুবায়েত হক সাথী প্রমুখ , এ ব্যাপারে সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশী কমিউনিটিকে কৃতজ্ঞতা ও ধ্যনবাদ জানিয়েছেন, এবং প্রত্যাশা করেন আগামীতে আরো বেশি অনুদান দিতে পারবেন ক্যান্সার কাউন্সিলকে।