শীর্ষ সংবাদ আন্তর্জাতিক

ফিলিপাইনে আগ্নেয়গিরিতে বিমানের ধ্বংসাবশেষ, ৪ মরদেহ উদ্ধার, দুজন অস্ট্রেলিয়ান

জন্মভূমি ডেস্কঃ ফিলিপাইনে একটি হালকা বিমান দুর্ঘটনার পর নিখোঁজ ঘোষণা করা অ্যাডিলেডের দুই ব্যক্তি ঘটনার কয়েকদিন পর এখন মৃত বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। ওই বিমান দুর্ঘটনার পর সাইমন চিপারফিল্ড এবং কার্থি সানথানামের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। আজ সকালে ফিজি থেকে কথা বলার সময় পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী পেনি ওং বলেছেন, উদ্ধারকারী কর্মীরা রাতারাতি আলবে প্রদেশের একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরিতে বিধ্বস্ত হওয়ার স্থানে পৌঁছেছেন।

পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী এক শোক বার্তায় বলেন ,"অস্ট্রেলীয় সরকারের পক্ষ থেকে, আমি আমার নিজের শহর অ্যাডিলেড থেকে আসা দুই ব্যক্তি, সাইমন চিপারফিল্ড এবং কার্থি সানথানাম এবং সেই সাথে জড়িত ফিলিপিনো নাগরিকদের পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা জানাতে চাই।" প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ, যিনি আজ অ্যাডিলেড সফর করছেন, তিনিও তার দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন যে Department of Foreign Affairs and Trade ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে সহায়তা দিচ্ছে।

ফিলিপাইনে একটি ছোট বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত সপ্তাহে একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরিতে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল। বিমানে চারজন আরোহী ছিলেন। কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে দুইজন ফিলিপাইনের পাইলট ও দুইজন অস্ট্রেলিয়ান যাত্রী।

অনুসন্ধান দলগুলো গত রবিবার থেকে মেয়ন আগ্নেয়গিরির ঢালগুলোতে বিধ্বস্ত বিমানের খোঁজ করছিলেন। বিমানের ধ্বংসাবশেষটি গর্ত থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে দেখা গিয়েছিল। উদ্ধারকারীরা এখন মরদেহগুলো নিরাপদে বের করে আনার চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা বিমানটি বিধ্বস্তের কারণ অনুসন্ধান করবে।

২০১৮ সালে সর্বশেষ অগ্ন্যুৎপাত হওয়া ফিলিপাইনের অন্যতম সক্রিয় আগ্নেয়গিরি মায়োন। গত শনিবার সেসনা ৩৪০ বিমানটি স্থানীয় বিমানবন্দর থেকে ম্যানিলার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কিছুক্ষণ পর নিখোঁজ হয়। এরপর মায়োন আগ্নেয়গিরির কয়েক কিলোমিটার দূরে এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেল।
ছবিঃ সংগৃহিত