শীর্ষ সংবাদ খেলা

এখনও শোধ হয়নি ২০১১ সালে মেসিদের আনতে বাফুফের ঋণ: কিছু শর্ত নিয়ে আলোচনা চলছে, বাংলাদেশ সফরে আসতে আপত্তি নেই আর্জেন্টিনার

এখনও শোধ হয়নি ২০১১ সালে মেসিদের আনতে বাফুফের ঋণ

কিছু শর্ত নিয়ে আলোচনা চলছে বাংলাদেশ সফরে আসতে আপত্তি নেই আর্জেন্টিনার

কাজী রুবেল আলম: ২০১১ সালের পর আবারো বাংলাদেশ সফরে আসতে আপত্তি নেই লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার। কিছু শর্ত নিয়ে আলোচনা চলছে, সেগুলো মিলে গেলে আগামী জুন-জুলাইয়ে ফিফা উইন্ডোতে ঢাকায় একটি ম্যাচ খেলবে গত ডিসেম্বর ফ্রান্সকে হারিয়ে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জেতা আর্জেন্টিনা।

মেসি ও আর্জেন্টিনা প্রেমীদের জন্য এটা অনেক বড় সুসংবাদ। তবে মেসিদের আনার উদ্যোগ নেওয়া বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের জন্য কি সত্যিই এটা হবে অনেক বড় সাফল্য?

২০১১ সালে আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়াকে ঢাকায় খেলিয়ে বেশ বাহবা পেয়েছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। তবে সেটা করতে গিয়ে বাফুফের ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন বিশাল ব্যাংক ঋণের বোঝা, যা এক যুগেও পরিশোধ করতে পারেননি। অতীতের ঋণের বোঝা নিয়ে আবারও মেসির দলকে আনার বিলাসী স্বপ্ন দেখছেন সালাউদ্দিন।

আর্জেন্টাইন ফুটবল সংস্থার কাছে জাতীয় দলকে ঢাকায় খেলানোর আগ্রহের কথা জানিয়েছিল বাফুফে। বাংলাদেশে আর্জেন্টিনা ও মেসিকে নিয়ে আকাশছোঁয়া উন্মাদনার ব্যাপারটা খুব জানা আর্জেন্টিনা ফুটবল সংস্থার। এ কারণেই বাফুফের প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে আর্জেন্টিনা। 
২০১১ সালে ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া ম্যাচ আয়োজন করতে গিয়ে আইএফআইসি ব্যাংকের কাছ থেকে ৮ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল বাফুফে। সেই ঋণ তো পরিশোধ হয়ইনি, বরং এক যুগ পরেও সেটা একই অঙ্ক রয়ে গেছে। বাফুফে এ সময় কেবল সুদের অঙ্ক গুনেছে। ঋণ বকেয়া থাকার বিষয়টি স্বীকার করে সোহাগ বলেন, ‘সেটা এখনো আছে। আমরা প্রতি বছর অডিট রিপোর্টে ঋণের বিষয়টি উল্লেখ করি। তবে এটা নানাভাবে আমরা এডজাস্ট করছি। দেখে থাকবেন আমাদের বিভিন্ন আয়োজনে আইএফআইসি ব্যাংকের বিলবোর্ড থাকে। এভাবেই একটা সময় বকেয়াটা পরিশোধ হয়ে যাবে।’

২০১১ সালে মেসিরা যখন প্রথম ঢাকায় এসেছিলেন, বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে তখন বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৬০-এর নিচে। এক যুগ পর এবার মেসিরা আসছেন বিশ্বসেরার তকমা নিয়ে। অথচ বাংলাদেশ এই এক যুগে র‌্যাংকিংয়ে পিছিয়ে রয়েছে ১৯২তম স্থানে। 
ছবি: সংগৃহিত