শীর্ষ সংবাদ

ডারউইনে বাংলাদেশী এক ছাত্রের মৃত্যু

জন্মভূমি রিপোর্টঃ (ডারউইন , নর্দার্ন টেরিটরি) গত ৩ মে বুধবার সকাল সাড়ে চারটায বাংলাদেশী এক ছাত্র  মোঃ ইশাকুর রহমান সিফাত (২৩) কে চার্লস ডারউইন ইউনিভার্সিটির নিকটবর্তী মিলনার এর ট্রোয়ার রোডের বাসা থেকে পুলিশ মারাত্মক আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রয়্যাল ডারউইন হাসপাতালে নেয়। ওই  হামলার পর থেকে মোঃ ইশাকুর রহমান সিফাত রয়্যাল ডারউইন হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যায় ছিলেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে, নর্দার্ন টেরিটরি পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে মোঃ ইশাকুর রহমান সিফাত মারা গেছেন এবং বলেছেন মেজর ক্রাইমস ইউনিটের গোয়েন্দারা এখন হত্যাকাণ্ড হিসাবে ঘটনাটি তদন্ত করছে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে যে ঘটনার সাথে জড়িত একজন ২৯ বছর বয়সী ব্যক্তিকে  গ্রেপ্তার করা হয়েছে  এবং পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। এখনো কোনো অভিযোগ আনা হয়নি এবং শুক্রবার সকালে এনটি পুলিশ একটি সংবাদ সম্মেলন করবে।

মোঃ ইশাকুর রহমান সিফাত  চার্লস ডারউইন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছিল। চার্লস ডারউইন ইউনিভার্সিটিতে ইনফরমেশন সায়েন্সে স্নাতকোত্তর অধ্যয়ন শুরু করার জন্য তিনি গত কয়েক মাস আগে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় এসেছিলেন।

এদিকে এই ঘটনার পর সিডিইউ'র বাংলাদেশি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিএসএসিডিইউ) বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের সহকর্মী ছাত্রদের সমর্থনে সহিংসতা বিরোধী বিক্ষোভ করেছে। শত শত শিক্ষার্থী শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করে।  প্রশাসনের কাছে "নিরাপদ বাসস্থান" এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।

সিফাতের  মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে, সিডিইউ-এর বাংলাদেশি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিবৃতি পোস্ট করে বলে যে সিফাত  নিবিড় পরিচর্যায় "সাহসীভাবে লড়াই করেছেন"। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, "এই মর্মান্তিক ক্ষতিতে আমাদের পুরো সম্প্রদায় কেঁপে উঠেছে। তাঁর আত্মা আল্লাহর দরবারে চির শান্তি লাভ করুক।"

বুধবার বিকেলে চার্লস ডারউইন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর স্কট বোম্যান বলেন, মোঃ ইশাকুর রহমান সিফাতের পরিবারকে বাংলাদেশ  থেকে আনতে সহায়তা করা হচ্ছে।

ছবিঃ সংগৃহিত