শীর্ষ সংবাদ বিনোদন

ছোট কাকুর সঙ্গে একটা জীবন

ফরিদুর রেজা সাগর

ছোট কাকুর সঙ্গে একটা জীবন

ফরিদুর রেজা সাগর : আমাদের বাড়িতে র্যাক ভর্তি ছিল বই আর বই। আমার মা লেখক রাবেয়া খাতুন। বাবা ছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সাংবাদিক ফজলুল হক। সে যুগের অধিকাংশ ভালো গল্প উপন্যাস আমার মা সংগ্রহ করতেন। মনে পড়ে, ১৯৫২ সাল থেকে কলকাতা থেকে প্রকাশিত বিখ্যাত দেশ পত্রিকা ছিল আমাদের বাসায়। পরে ললনা, সচিত্র সন্ধানী, উল্টোরথ, জলসা কত পত্র পত্রিকাই না ছিল আমাদের বাসায়। তখন রিডার্স ডাইজেস্ট নামে একটা পত্রিকা নিয়মিত পাওয়া যেত। ছোট ছোট মজার মজার ফিচার থাকত পত্রিকাটিতে। LIFE নামে বড় সাইজের একটা পত্রিকা পাওয়া যেত নিয়মিত। বড় বড় ছবি ছাপা হতো। খবর ছাপা হতো LIFE– এ। মাঝে মাঝে বাসায় দেখতাম National Geography. আজকাল এই পত্রিকার একটা টিভি চ্যানেলও আছে। খুব জনপ্রিয় চ্যানেল। নিয়মিতভাবে পত্রিকা পড়া সেই ছোটবেলা থেকে অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল। পত্রিকা দেখলেই উল্টেপাল্টে দেখি। যে আইটেম পছন্দ হতো মন দিয়ে পড়ে ফেলতাম। আমাদেরকালে উন্নতমানের ছোটদের পত্রিকা প্রকাশিত হতো। শুকতারা, সন্দেশ, কিশোর ভারতী, কচি ও কাঁচা, টাপুর টুপুর নিয়মিত পেতাম। মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। আনন্দে মন ভরে থাকতো। বই পড়তে খুব ভালোবাসতাম। আর ছোটদের মাসিক পত্রিকায় রহস্য ও গোয়েন্দা গল্প পড়তে অন্যরকম ভালো লাগতো। সেই সময় একদিন হঠাৎ করে আমার বড় মামার বাড়িতে আবিস্কার করলাম গোয়েন্দা পত্রিকার কয়েকটা সংখ্যা। আটআনা দাম। পাতলা বই। চট করে পড়ে ফেলা যায়। পড়ে ফেললাম গোয়েন্দা সিরিজের কিছু বই।

বই পড়ে অনেক রহস্য উদঘাটন হয়। নানা অভিযানে নিজেকে জড়িয়ে ফেলি বই পড়তে পড়তে। কত ধরনের গোয়েন্দা গল্প পড়েছি সে সময়। বড় মামার বাড়িতে ছিল প্রচুর ডিটেকটিভ বই। বড় মামার বাড়িতে প্রথম পরিচিত হলাম শার্লক হোমসের সঙ্গে। পৃথিবী বিখ্যাত এক গোয়েন্দা চরিত্র। কালো হ্যাট পরেন। লম্বা ওভারকোট থাকে তার পরনে। খুব ঠান্ডা মাথায় তিনি রহস্যভেদ করেন। শার্লক হোমসের প্রেমে পড়ে গেলাম। সে সময় একটা বই আমার মনে ভীষণ দাগ কাটল। লেখকের নাম জুলে ভের্ন। বিজ্ঞান কল্পকাহিনির জনক। তার বইয়ের নাম আশি দিনে পৃথিবী প্রদক্ষিণ। অসাধারণ এক বই। আমার কল্পনার পৃথিবীকে বদলে দিলো এই বই। এ শুধু ভ্রমণ নয়। একই সঙ্গে আছে রহস্যে ঘেরা অভিযান। আশ্চর্য এক পৃথিবীর সন্ধান পেলাম সেই বই পড়ে। জুলে ভের্নের আরেকটি বইয়ের নাম কোরাল আইল্যান্ড। বাংলা বইটার নাম সম্ভবত রতœদ্বীপ। অভিযান, রহস্য আর স্বপ্নময় কাহিনি মিলেমিশে এক অনবদ্য বই। তখন বই পড়ার নেশায় পেয়ে গেল। একটার পর একটা বই পড়ে যাচ্ছি। এক অচেনা অদেখা পৃথিবী আমার সামনে তখন জীবন্ত হচ্ছে। আর বই পড়তে পড়তে আমি টের পেতে লাগলাম, পৃথিবীর সব গল্পই আসলে রহস্যে ভরা। যে কোনো নাটকীয় রহস্যই আমাদের পাঠক মনকে আকৃষ্ট করে। আমরা বই পাঠ করে আপ্লুত হই।

পৃথিবীজুড়ে তখন গোয়েন্দা আর রহস্য গল্পের ছড়াছড়ি। সিনেমা ও টেলিভিশন সিরিয়ালে রহস্য আর গোয়েন্দা গল্প খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সেই সময় ইয়ান ফ্লেমিং এর জেমস বন্ড চলচ্চিত্র প্রচ- জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। জুলে ভের্নের বইগুলো বা শার্লক হোমসের ফিল্ম তখন ভীষণ জনপ্রিয়। অনেক ধরনের টিভি সিরিয়ালও তখন দেখানো হচ্ছে। শুরু হয়ে গেল থ্রিলার ছবি অর্থাৎ ডিটেকটিভ ছবির জয় জয়কার। এখন গোয়েন্দা সিরিজ রচিত হয়। টিভি সিরিয়াল বা সিনেমা তৈরি হচ্ছে। এর দর্শক বা পাঠকও আছে প্রচুর।

বাংলা সাহিত্যেও গোয়েন্দা কাহিনির প্রচলন অনেক আগে থেকে। সত্য সন্ধানী, সত্যান্বেষী, গোয়েন্দা, ডিটেকটিভ এসব শব্দের বহুল ব্যবহার ছিল। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৃষ্টি সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ বক্সীকে নিয়ে আজও ফিল্ম বা টিভি সিরিয়াল নির্মিত হচ্ছে। নীহাররঞ্জন গুপ্তের কিরিটি রায়, শশধর দত্তের দস্যু মোহন, পঞ্চাশ-ষাট দশকের পাঠকদের কাছে এরা খুব জনপ্রিয় ছিলেন। আর আমাদের দেশে কাজী আনোয়ার হোসেনের সৃষ্টি মাসুদ রানা তো এখন ইতিহাস হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক পরিম-লে তিনি হচ্ছেন বাঙালি গোয়েন্দা। খুবই সহজ ভাষায় লেখা আধুনিক এক চরিত্র মাসুদ রানা।

এই সময় কম দামে পাওয়া যেত আহমেদ রুশদী, দস্যু বাহরাম, দস্যু বনহুর নামের আরও কিছু রহস্য সিরিজের বই।

বাংলা সাহিত্যে তখন খাঁটি লেখকরা কিছু গোয়েন্দা কাহিনি লিখে শিশুকিশোর পাঠক মন জয় করেন। তখনকার পূজা সংখ্যায় বড় লেখকেরা প্রায় প্রত্যেকেই গোয়েন্দা গল্প লিখেছেন।

ব্যোমকেশ বক্সী, কিরিটি রায়, জয়ন্ত-মানিকের পরে বাংলা ভাষায় আমরা পেলাম সমরেশ বসুর গোগোল, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কাকাবাবু, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের গোয়েন্দা বরদাচরণ যা সহজেই আমাদের মন জয় করে ফেলল। তবে সকল চরিত্রকে ছাপিয়ে গেল ফেলুদা। সত্যজিৎ রায়ের অমর সৃষ্টি। ছোট ছোট রহস্য গল্প। বিভিন্ন স্থানে রহস্য ভেদ করাই ফেলুদার কাজ। সঙ্গে থাকে কিশোর তোপসে। বাংলার কিশোর কিশোরীদের কাছে ফেলুদা অবিস্মরণীয় হয়ে গেলেন।

বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায় রহস্য-রোমাঞ্চের ভক্ত। তিনি যখন ‘সন্দেশ সম্পাদনা করেন তখন কিশোর পাঠকদের জন্য রহস্য রোমাঞ্চের গল্প ছাপতেন নিয়মিত।

চিড়িয়াখানা নামে রহস্য ঘেরা একটি চলচ্চিত্র তিনি নির্মাণ করেন। চিড়িয়াখানার কাহিনিকার ছিলেন শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ছবিতে অভিনয় করেন উত্তমকুমার।

সাপ্তাহিক দেশ পত্রিকার পূজা সংখ্যায় সত্যজিৎ রায় প্রথম ফেলুদার গোয়েন্দা কাহিনি লেখেন। কাহিনির নাম সোনার কেল্লা। জয়সলমীরে এক কিশোরকে নিয়ে ঘটনা। পরে সোনার কেল্লা চলচ্চিত্রে রূপান্তরিত করেন। ‘দেশ বড়দের পত্রিকা হলেও কিশোরদের জন্য ফেলুদার কাহিনি প্রতি পূজা সংখ্যায় ছাপা হতো। আমরা উন্মুখ হয়ে অপেক্ষা করতাম সেই সব গল্প পড়ার জন্য। সোনার কেল্লার পরে প্রকাশিত হয় বাক্স রহস্য হিসেবে। কৈলাসে কেলেঙ্কারী, যত কাণ্ড কাঠমান্ডুতে, রয়েল বেঙ্গল রহস্য কত বই। এখনও চোখ বন্ধ করলে সেইসব বই পাঠের স্মৃতি মনে পড়ে যায়। ফেলুদার কাহিনির মধ্যে একদিকে থাকত ভূগোল ও ইতিহাস। অন্যদিকে থাকত রহস্য ও রোমাঞ্চ। ঠিক সেই সময়ে বাংলাদেশ টেলিভিশনে শুরু হলো ‘ডেঞ্জারম্যান নামে একটা সিরিজ। সপ্তাহে একদিন প্রচার হতো। অবিশ্বাস্য এক গোয়েন্দা চরিত্র তিনি। ছোট্ট একটা বেবি অস্টিন গাড়ি ছিল তার। অসম্ভব বুদ্ধিমান মানুষ। ছোট ছোট যন্ত্র ব্যবহার করে অবিশ্বাস্য সব কাজ করে ফেলতেন। প্রচণ্ড শক্তিমান। ক্লান্তিহীন দৌড়াতে পারতেন। পুরো শহরের হিরো ছিলেন ডেঞ্জারম্যান।

সেই সময় সদ্য স্বাধীন হয়েছে বাংলাদেশ। আমার ছোট কাকু ড. ফজলুল আলম লন্ডনে একটা বিখ্যাত লাইব্রেরিতে চাকরি করতেন। ফজলুল আলম ছিলেন আমার বাবার ছোটভাই। উচ্চতর লেখাপড়ার জন্য তিনি বিলেত পাড়ি দেন। সেই ছোটকাকু একদিন কয়েকটা ছবি পাঠালেন আমাদের জন্য।

ছবি দেখে আমি চমকে উঠলাম। একটা বিশাল লাইব্রেরির ছবি। ফজলুল আলম বইয়ের কাউন্টারে বই ইস্যু করছেন। তাকিয়ে দেখি-ছোটকাকুর কাছ থেকে বই নিচ্ছেন ডেভিড ব্যাকওয়ার্থ। অর্থাৎ ডেঞ্জারম্যান। এর চেয়ে বিস্ময়কর ছবি আমার কাছে আর কি হতে পারে? সঙ্গে আছে ছোটকাকু ফজলুল আলমের ছোট্ট একটা চিঠি। চিঠি পড়ে জানলাম, কাকুদের ঐ পাড়াতেই ডেঞ্জারম্যান থাকেন। সময় সুযোগ পেলেই তিনি লাইব্রেরিতে আসেন। বই পড়েন। বই ইস্যু করে বাসায় নিয়ে যান। ড. ফজলুল আলমের প্রতি শ্রদ্ধা ও বিস্ময়ে আমি আপ্লুত হয়ে গেলাম। আমার কাকু ডেঞ্জারম্যানের মতো বিখ্যাত মানুষকে চেনেন। এবার কাকু ঢাকায় বেড়াতে এলে তার কাছে এসব গল্প শুনতে হবে।

আমরা তখন বাস করি বাসাবোতে। বাসাবোর মোড়েই ছিল আমাদের বাড়ি। একদিন সত্যি সত্যি দুলাল কাকু এলেন আমাদের বাসায়। দুলাল কাকু অর্থাৎ ছোটকাকু ড. ফজলুল আলম। তিনি আমাদের বাসার ঠিকানা জানেন না। শুধু জানেন বাসাবোর মোড়ে আমরা থাকি।

একদিন ভর দুপুরবেলা। সুনসান ফাঁকা বাসাবো। চারদিকে নীরব। মোড়ে দাঁড়িয়ে দুলাল কাকু চিৎকার করতে লাগলেন। সাগর, সাগর বলে। আশেপাশের বাড়িগুলোর দরজা জানালা খুলে গেল। সবার উৎসুক প্রশ্ন।

কোন সাগর?

দুলাল কাকু চিৎকার করে বললেন, ঐ যে কিশোর ছেলেটি। যে গল্প লেখে। টেলিভিশনে অনুষ্ঠান করে।

তখন পাড়া প্রতিবেশীরা আমাদের বাসা চিনিয়ে দিলো। বুদ্ধি খাটিয়ে দুলাল কাকু আমাদের বাড়ি এসে উপস্থিত হলেন। দুলাল কাকুর সঙ্গে গল্প করি। তার জীবনের গল্প শুনি। ডেঞ্জারম্যান ছাড়াও অনেক বিখ্যাত মানুষের সাথে তার চেনাজানা আছে। তিনি যে কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারেন। সবচেয়ে বড় কথা- তিনি যে কোনো বিষয়কে সাধারণ দৃষ্টিতে দেখেন না। তিনি দেখেন আলাদাভাবে।

আমি তার ভক্ত হয়ে গেলাম। দুলাল কাকু আমার লেখার চরিত্র হয়ে উঠবে তা কখনো ভাবিনি। কিন্তু তার সঙ্গে কথা বললে মনে হতো তিনি ব্যোমকেশ, তিনি ফেলুদা।

দুলাল কাকু আমাদের নিয়ে একবার কক্সবাজার বেড়াতে গিয়েছিলেন। খুবই আনন্দময় ছিল সেই ভ্রমণ। একদিন সমুদ্র সৈকতে দেখা হলো এক পাখিঅলার সঙ্গে। গাড়ি থামিয়ে দুলাল কাকু পাখিঅলাকে বললেন, পাখি ধরা অপরাধ। কেন পাখি ধরেছেন?

আমি আপনার সবগুলো পাখি কিনে নেব। কিন্তু কিছু পাখি ধরা অবৈধ। ওগুলো ছেড়ে দিতে হবে। পাখিঅলা থতমত খেয়ে গেল। একটা পাখি আবার লাফ মেরে এসে বসল আমার কাঁধে। পাখি না ছাড়লে কিন্তু আমি পুলিশ ডাকব। ঘটনাটা আমার খুব মনে রয়ে যায়।

একদিন আমীরুলকে বললাম, ছোটকাকু নামে একটা গোয়েন্দা সিরিজ লিখতে চাই।

আমীরুল বরাবরের মতো খুশি হলো। উৎসাহ দিলো। শুরু হলো আমার ছোটকাকুর অভিযান। প্রথম লিখলাম কক্সবাজারে কাকাতুয়া। দুলাল কাকুর কিছুটা ছায়া রইলো ছোটকাকু চরিত্রে। ছোটকাকু বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন ধরনের রহস্যের সাথে জড়িয়ে পড়েন। রহস্য ভেদ করেন খুব বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে। ছোটকাকু দেশপ্রেমিক চরিত্র। ছোটকাকু শুধু গোয়েন্দা চরিত্র নন। তিনি মানবিক আদর্শবাদী ও ন্যায়বান চরিত্র।

ছোটকাকুর সঙ্গে সঙ্গী হিসাবে থাকেন সীমান্ত ও অর্শা। দুই ভাইবোন। আর কয়েকটা কাহিনির পরে যুক্ত হলেন শরিফ সিঙ্গাপুরি নামে এক মজার চরিত্র। শরিফ সিঙ্গাপুরি আর সিঙ্গাপুর ফিরে যাননি। সবাই মিলে ছোটকাকুদের একটা গোয়েন্দা দল।

ছোটকাকু সিরিজের বইগুলোর নামকরণেও বিভিন্ন জেলার নাম ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতি বছরই দুএকটা করে ছোটকাকু প্রকাশিত হয়। কিশোর তরুণ পাঠকদের বাইরেও অনেকে ছোটদের কাহিনি পড়ে থাকেন। ছোটকাকুর প্রথম পাঠক মেঘনা আর মোহনা। ওদের মতামতকে খুব গুরুত্ব দেই।

ওরা বলে, রহস্য কাহিনির মধ্যে যে ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয় সেটা খুব বড় ব্যাপার। আর ছোটকাকুর বই পড়ে পুরো বাংলাদেশ ঘুরে আসা যায় এটা বাড়তি পাওনা।

ছোটকাকুর প্রথম বই প্রকাশিত হয়েছিল সাপ্তাহিক ২০০০-এ। পরে সাপ্তাহিক এর ঈদসংখ্যায়। এখন প্রকাশিত হয় মাসিক অন্যদিন-এ।

দুলাল কাকু আমাদের মধ্যে নেই। তিনি প্রয়াত হয়েছেন। এখন ছোটকাকু লিখতে গিয়ে তার কথা খুব মনে পড়ে। একটা ছোটকাকু সিরিজের বই তাকে উৎসর্গ করেছিলাম। সেখানে লেখা ছিল ‘আসল ছোটকাকুকে

ছোটকাকুর বইগুলো ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করে যাচ্ছেন মনিরুল হক। অনন্যা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী। আর ছোটকাকুর বাছাই সংকলনগুলো বের করেছেন মাজহারুল ইসলাম। অন্যপ্রকাশ থেকে।

বই বের হওয়ার পর একদিন নির্মাতা অভিনেতা আফজাল বলল, সাগর, তোমার কক্সবাজারে কাকাতুয়া নিয়ে ছোটদের নাটক করব। ঈদে ধারাবাহিক প্রচার হবে। আফজালের কিছু করতে চাওয়াটা অতি আনন্দের সংবাদ। আজকাল নিজে ছোটকাকুর চরিত্রে অভিনয় করে গেল। কতগুলো ছোটকাকু যে চিত্রায়িত করেছে সে হিসাবও ভুলে গেছি। বড় পরিসরে আফজাল হোসেন একটা চলচ্চিত্র নির্মাণ করবে সেই স্বপ্ন আমাদের এখনও। নায়ক আফজাল আমাদের ছোটকাকু সিরিজের একজন গভীর ও মনোযোগী পাঠক। ও আমার অনেক বড় উৎসাহদাতা।

শিপলু একক উদ্যোগে ছোটকাকুর কমিক সিরিজ প্রকাশ করে চলেছে। এইসব কমিকস পাঠকপ্রিয় হয়েছে। আজম বাবু এনিমেশন ফিল্ম বানানোর চেষ্টা করছেন।

ছোটকাকু দেশপ্রেমের প্রতীক হয়ে থাকবেন। সত্যিকারের ছোটকাকু হারিয়ে গেছেন। কিন্তু বইয়ের চরিত্র ‘ছোটকাকু দিব্যি আছেন আমাদের মধ্যে। তার মৃত্যু নাই।শিপলু এককউদ্যোগে ছোটকাকুর কমিক সিরিজ প্রকাশ করে চলেছে। এইসব কমিকস পাঠকপ্রিয় হয়েছে। আজম বাবু এনিমেশন ফিল্ম বানানোর চেষ্টা করছেন।

ছোটকাকু দেশপ্রেমের প্রতীক হয়ে থাকবেন। সত্যিকারের ছোটকাকু হারিয়ে গেছেন। কিন্তু বইয়ের চরিত্রছোটকাকুদিব্যি আছেন আমাদের মধ্যে। তার মৃত্যু নাই।