শীর্ষ সংবাদ বাংলাদেশ

বাংলাদেশের দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

ঢাকা ব্যুরো: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হলেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। মনোনয়ন যাচাই বাছাই শেষে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় তাকে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসাবে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আওয়াল।

আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা মো. জিল্লুর রহমান রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিতে গেলে ২০১৩ সালের ১৪ই মার্চ থেকে মো. আবদুল হামিদ ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। সে বছর ২০শে মার্চ রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান মৃত্যুবরণ করলে সেদিন থেকেই অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন মো. আবদুল হামিদ।

পরবর্তীতে ২২শে এপ্রিল তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ২৪শে এপ্রিল বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। ২০১৮ সালের ৭ই ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন তিনি এবং ২৪শে এপ্রিল ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ বাক্য পাঠ করেন। সংবিধান অনুযায়ী, দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হওয়ায় তিনি আর এ পদে প্রার্থী হতে পারবেন না। এখন তার স্থলাভিষিক্ত হলেন বিচারপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

উল্লেখ্য, পাবনার সন্তান মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্‌পুর জন্ম ১৯৪৯ সালে। ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী সাহাবুদ্দিন চুপ্‌পু ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন। বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২৫ বছর পর ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন।

২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পরপরই আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর উপর হামলা হয়। যাতে হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনা ঘটে। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে ওসব ঘটনার তদন্তে কমিশন’ গঠন করেন, যার প্রধান ছিলেন সাহাবুদ্দিন চুপ্‌পু। ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্‌পু দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ছবিঃ সংগৃহিত